ই-শ্রম কার্ডে কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিমাসে দিচ্ছে ৩০০০ টাকা, কিভাবে আবেদন করলে পাবেন ই-শ্রম কার্ডের টাকা : E-Shram Card Scheme 2025

E-Shram Card Scheme:

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদিজির  ও কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে দেশের সমস্ত অসংগঠিত  শ্রমিকদের জন্য কয়েক বছর আগে চালু করা হয়েছিল ই-শ্রম কার্ড যোজনা। এই যোজনার মূল উদ্দেশ্য হল – শ্রমিকদের আর্থিকভাবে সুরক্ষা প্রদান করে তাদের সামাজিক কল্যাণ উন্নত করা।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now
Instagram Group Join Now

এই কার্ড এর মাধ্যমে অসংগঠিত শ্রমিকদের প্রতি মাসে পেনশন, দুর্ঘটনা জনিত বীমা এবং আরও প্রচুর রকমের সুবিধা পাবেন কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে। এখনো পর্যন্ত প্রায় 20 কোটিরও বেশি মানুষ এই যোজনায় নাম অন্তর্ভুক্ত করে নিয়েছেন।

তাহলে আপনারা  কিভাবে এই যোজনায় নিজেদের নাম অন্তর্ভুক্ত করবেন ? কি কি সুবিধা পাবেন এই ই শ্রম কার্ডের মাধ্যমে? আবেদন করতে হলে কি কি ডকুমেন্টস প্রয়োজন? ইত্যাদি। তাহলে আর চিন্তার  কোন কারণ নেই সেই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর নিয়েই আমরা আজকে এই প্রতিবেদনটির মাধ্যমে আলোচনা করব । সুতরাং সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটা অবশ্যই শুরু থেকে শেষ অব্দি মনোযোগ সহকারে পড়বেন।

আরো পড়ুন, পঞ্চায়েতের যে কোন সার্টিফিকেট এখন পাওয়া যাবে বাড়িতে বসে অনলাইন থেকে, কিন্তু কি ভাবে

ই শ্রম কার্ড তথ্য :

কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে নিয়ে আসা এই ই শ্রম কার্ড হল একটি অসংগঠিত নাগরিকদের ডাটাবেস্, যেটা কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে  শ্রম মন্ত্রণালয় দ্বারা পরিচালিত হয় । এই প্রকল্পটি সাধনত দেশের সমস্ত অসংগঠিত শ্রমিকদের জন্য তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও এই কার্ডটি শ্রমিকদের আর্থিক এবং সামাজিক সুরক্ষা প্রদান করে জন্য তৈরি করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের  কল্যাণমূলক প্রকল্পে সরকারি ওয়েবসাইট থেকে শুরু করে একক পরিচয় পত্র হিসেবেও এই কার্ডটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ।  তাহলে চলুন এবার এই ই শ্রম কার্ড এর সুবিধাগুলি কি কি ?  দেখে নেওয়া যাকএক ঝলকে  –

ই-শ্রম কার্ডের সুবিধা গুলি কি কি  :

  • এই ই-শ্রম কার্ড ধারি প্রত্যেক ব্যক্তি 60 বছর বয়সের পর প্রতি মাসে 3000 টাকা করে পেনশন পাবেন।
  • ই-শ্রম কার্ড ধারি কোনো ব্যাক্তি যদি কোনো রকম দুর্ঘটনাজনিত কারণে মৃত্যু হয়, তাহলে তার পরিবারকে 2 লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হবে।
  • এই ই-শ্রম কার্ড ধারি কোন ব্যাক্তি যদি দুর্ঘটনার  কারণে প্রতিবন্ধী কিংবা আহত হন তাহলে তাকে 1 লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেওয়া হবে।
  • ই-শ্রম কার্ড থাকলে গর্ববতী মহিলারাও পাবে আর্থিক সহায়তা।

ই-শ্রম প্রকল্পের জন্য আবেদন করবেন কিভাবে?

এই প্রকল্পে আবেদন করতে হবে শুধু অনলাইন এর মাধ্যমে। তার জন্য আবেদনকারী ব্যক্তিকে ই-শ্রম কার্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এ গিয়ে নাম নথিভুক্ত করতে হবে। আপনার আধার কার্ডের সাথে মোবাইল নম্বর লিংক থাকলে বাড়িতে সেখানে গিয়ে নিজের আধার নম্বরে লিংক করা মোবাইল নাম্বারে OTP মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।যদি আপনার আধার কার্ডের সাথে মোবাইল লিংক না থাকে তাহলে পাশ্ববতি কোনো তথ্যমিত্র কেন্দ্রে গিয়ে আবেদন জানাতে হবে। 

ই-শ্রম প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য যে সব  ডকুমেন্টস প্রয়োজন হবে ?

কেন্দ্রীয় সরকারের এই ই শ্রম কার্ড প্রকল্পে আবেদন করতে হলে, আবেদনকারীকে  আবেদন কারীর আধার কার্ড, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, আধার কার্ডের সাথে লিংক করা মোবাইল নম্বর, শিক্ষাগত যোগ্যতার তথ্য ও নমিনি যাকে দিবেন তার আধার কার্ড  ইত্যাদি।

আরো পড়ুন, একঝলকে দেখে নিন ২০২৫ সেরা চাকরি

কারা কারা এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন?

  • আবেদনকারীর বয়স ১৮ থেকে ৫৯ বছরের মধ্যে হতে হবে তবেই এই সুবিধা পাবেন।
  • নির্দিষ্ট কোন আয়ের উৎস নেই এমন শ্রমিকরাও এখানে আবেদন করতে পারবেন ।
  • আবেদনকারীর যদি আয়কর দাতা কিংবা  EPFO/ESIC সদস্য হন তাহলে এই প্রকল্পে আবেদন জানাতে পারবেন না।

কেন্দ্রীয় সরকারের এই ই-শ্রম কার্ড প্রকল্পটি দেশের সমস্ত অসংগঠিত শ্রমিকদের জন্য একটি দুর্দান্ত প্রকল্প। কেননা এই প্রকল্পের মাধ্যমে সেই শ্রমিকরা নির্দিষ্ট বয়সের পর প্রতি মাসে পেনশন বাবদ ৩০০০/- টাকা করে পেয়ে থাকে।

গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক
অফিসিয়াল ওয়েবসাইটClick Here
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ লিঙ্কJoin Our Group
আমাদের টেলিগ্রাম লিঙ্কJoin Our Group
অন্যান্য চাকরির আপডেটআরো পড়ুন