৯ম শ্রেণি এ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্ন ও উত্তর ২০২১ ।
৯ম শ্রেণি এ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্ন ও উত্তর ২০২১ । ৯ম শ্রেণির এসাইনমেন্ট প্রশ্ন ২০২১ খুব শীঘ্রই মাধ্যমিক ও শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট www.dshe.gov.bd -তে প্রকাশ করা হয়েছে। ২০২০ সালের মত ২০২১ শিক্ষাবর্ষেও পূণরায় নির্ধারিত কাজ বা এ্যাসাইনমেন্ট নেওয়া জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। আজকে আমরা নবম শ্রেণি এ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্ন ও উত্তর ২০২১ সম্পর্কে বিস্তারিত জানব ।
৯ম শ্রেণি এ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্ন ও উত্তর ২০২১ ।
করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে ২০২০ সালের মার্চ মাসে সকল বোর্ডের শিক্ষা কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করা হয় । শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে নির্ধারিত কাজ বা এ্যাসাইনমেণ্ট প্রণয়ন করা হয় । এরই ধারাবাহিকতায় ২০২১ সালের মার্চ মাসের ২০ তারিখ থেকে পূণরায় ৯ম শ্রেণির এসাইনমেণ্ট জমাদানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে ।
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য |
---|
|
নবম শ্রেণি এসাইনমেন্ট ২০২১
প্রতি সপ্তাহের বাড়ির কাজ বা নির্ধারিত কাজ সপ্তাহ শুরুর দুই দিন পূর্বে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর এর ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে । শিক্ষার্থীরা তাদের নির্দিষ্ট বিষয়ের এসাইনমেন্ট হাতে লিখে স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানে জমা দিবে ।
নির্দিষ্ট বিষয়ের বিভিন্ন অধ্যায়ের ব্যাখ্যামূলক প্রশ্ন, নিবন্ধ, রচনা,সাহিত্য পর্যালােচনা, চিঠি, পত্র, সারসংক্ষেপ, সারাংশ লিখন, মডেল, চার্ট, কেইস স্টাডি, প্রতিবেদন ইত্যাদির উপর নির্ধারিত কাজ লিখতে হবে ।
৯ম শ্রেণির এসাইনমেন্ট উত্তর
৯ম শ্রেণিতে মোট ত্রিশটি বিষয় রয়েছে । ত্রিশটি বিষয়ের মধ্যে আবশ্যিক এবং গ্রুপ ভিত্তিক বিষয় রয়েছে। বিভিন্ন সপ্তাহে বিভিন্ন বিষয়ে এসাইনমেন্ট দেওয়া দেওয়া হবে । শিক্ষার্থীরা তাদের নির্ধারিত কাজ নির্ধারিত সময়ে শ্রেণী শিক্ষকের নিকট জমা দিবেন । নিচে নবম শ্রেণীর সকল বিষয়ের এ্যাসাইনমেণ্ট প্রশ্ন ও উত্তর দেওয়া হল –
১ম সপ্তাহ নির্ধারিত কাজের উত্তর
- বাংলা এসাইনমেন্ট প্রশ্ন ও উত্তর
অনুচ্ছেদ রচনাঃ ‘স্বশিক্ষা অর্জনে বই পড়ার গুরুত্ব‘
উত্তর : সুশিক্ষিত লােক মাত্রই স্বশিক্ষিত। আমাদের পাঠচর্চায় অনভ্যাস যে শিক্ষাব্যবস্থার ত্রুটির জন্য ঘটছে তা সহজেই লক্ষণীয়। আর্থিক অনটনের কারণে অর্থকরী নয় এমন সবকিছুই এদেশে অনর্থক বলে বিবেচনা করা হয়। সেজন্য বই পড়ার প্রতি লােকের অনীহা দেখা যায়।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে লব্ধ শিক্ষা পূর্ণাঙ্গ নয় বলে ব্যাপকভাবে বই পড়া দরকার। যথার্থ শিক্ষিত হতে হলে মনের প্রসার দরকার। তার জন্য বই পড়ার অভ্যাস বাড়াতে হবে। বই-ই হচ্ছে মানুষের শ্রেষ্ঠ সম্পদ। যার সাথে পার্থিব কোনাে সম্পদের তুলনা হতে পারে না। একদিন হয়তাে পার্থিব সব সম্পদ বিনষ্ট হয়ে যাবে, কিন্তু একটি ভালাে বই থেকে প্রাপ্ত জ্ঞান কখনাে নিঃশেষ হবেনা, তা চিরকাল জ্ঞানের প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখবে।
ব্যায়াম যেমন আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখে তেমনি বই পড়ার মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের মনকে সুস্থ ও আনন্দিত রাখতে পারি। একটি ভালাে বই মানুষের মনশ্চক্ষু যেমন খুলে দেয়, তেমনি জ্ঞান ও বুদ্ধি কে প্রসারিত ও বিকশিত করে মনের ভিতর আলাে জ্বালাতে সাহায্য করে।
লাইব্রেরীতে লােকে নিজের পছন্দ অনুযায়ী বই পড়ে যথার্থ শিক্ষিত হয়ে উঠতে পারে । প্রগতিশীল জগতের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য সাহিত্যচর্চা করা আবশ্যক। কেননা, সাহিত্যচর্চা হচ্ছে শিক্ষার সর্ব প্রধান অঙ্গ। আর সাহিত্য চর্চা করার জন্যই আমাদের বই পড়তে হবে। তাই, স্বশিক্ষা অর্জনে বই পড়ার গুরুত্ব অপরিসীম।
- বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় এসাইনমেন্ট প্রশ্ন ও উত্তর
১৯৫২, ১৯৬৬, ১৯৭০ সাল বাংলাদেশের ইতিহাস বিনির্মানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন কিছু সময়। এর মাঝে কোন সালের ঘটনাপ্রবাহ বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে অধিকতর প্রেরণা যুগিয়েছিল বলে তুমি মনে কর? যুক্তিসহ তোমার মতামত তুলে ধর।
উত্তরঃ
প্রশ্নে উল্লেখিত সালগুলাে হলাে, ১৯৫২, ১৯৬৬,১৯৭০। নিম্নে এই সালগুলাের সাথে সম্পর্কিত ঘটনাগুলি ধারাবাহিকভাবে উল্লেখ করা হলাে:
১৯৫২ সাল
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন ছিল পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) একটি সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক আন্দোলন।
| ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান গঠনের পর পশ্চিম পাকিস্তানের রাজনীতিবিদরাই পাকিস্তান সরকারের প্রাধান্য পায়। পাকিস্তান সরকার ঠিক করে উর্দু ভাষাকে সমগ্র পাকিস্তানের জাতীয় ভাষা করা হবে, যদিও পূর্ব পাকিস্তানে উর্দু ভাষার চল ছিলাে খুবই কম। পূর্ব পাকিস্তানের বাংলা ভাষাভাষী মানুষ | (যারা সংখ্যার বিচারে সমগ্র পাকিস্তানে সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিলেন) এই সিদ্ধান্তকে মােটেই মেনে নিতে চায়নি। পূর্ব পাকিস্তানে বাংলাভাষার সম-মর্যাদার দাবীতে শুরু হয়। আন্দোলন। ১৯৫২ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর খাজা নাজিমুদ্দিন জানান যে পাকিস্তান সরকারের সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া হবে। এই ঘােষণার ফলে আন্দোলন আরাে জোরদার হয়ে ওঠে। পলিশ ১৪৪ ধারা জারি করে মিটিং-মিছিল। ইত্যাদি বে-আইনি ঘােষণা করে। ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫২ সালে এই আদেশ অমান্য করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-এর অনেক ছাত্র ও আরাে কিছু রাজনৈতিক কর্মীরা মিলে একটি মিছিল শুরু করেন। মিছিল ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ-এর কাছে এলে পুলিস মিছিলের উপর গুলি চালায়। গুলিতে নিহত হন আব্দুস সালাম,রফিক, বরকত, জব্বার সহ আরাে অনেকে। এই ঘটনার প্রতিবাদে সারা পূর্ব। পাকিস্তানে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে ও তীব্র আকার ধারন করে। অবশেষে পাকিস্তান। সরকার বাধ্য হয় বাংলা ও উর্দুভাষাকে সমমর্যাদা দিতে।
১৯৬৬ সাল
১৯৬৬ সালে সংঘটিত হয় ঐতিহাসিক ৬ দফা। ঐতিহাসিক ৬ দফার প্রবক্তা জাতির | পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। পূর্ব । বাংলার জনগণের প্রতি পাকিস্তান রাষ্ট্রের চরম বৈষম্যমূলক আচরণ ও অবহেলার বিরুদ্ধে আন্দোলন ও সংগ্রাম সুস্পষ্ট রূপ
লাভ করে ছয় দফার স্বায়ত্তশাসনের দাবিনামায়। ১৯৬৬ সালের ৫-৬ ফেব্রুয়ারি লাহােরে অনুষ্ঠিত বিরােধী দলসমূহের এক। সম্মেলনে যােগদান করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মুজিবুর রহমান। সেখানে তিনি সংবাদ সম্মেলন করে পূর্ব সেখানে তিনি সংবাদ সম্মেলন করে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের অধিকার রক্ষার জন্য ছয় দফা দাবি তুলে ধরেন। দফাগুলাে হলাে:
- বিজ্ঞান এ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্ন ও উত্তর
১। বৃহস্পতিবার প্রমার আম্মু চাল, ডাল, উদ্ভিজ্জভোজ্য তেল, সবজি এবং মাংস মিশিয়ে খিচুড়ি রান্না করলেন। বিকেলে প্রমা পেয়ারে খেতে খেতে তার আব্বুকে বললো যে কাল তারা বাইরে বেড়াতে যাবে এবং বাইরে খাবে। কথামত শুক্রবারে তারা বাইরে গিয়ে দুপুরে ফ্রাইড রাইস, ফ্রাইড চিকেন, সফট ড্রিংক এবং বিকেলে বার্গার খেলো।
ক) প্রমার গৃহীত খাবারগুলোর মধ্যে কোন খাবারটি ভিটামিন E সমৃদ্ধ?
খ) উল্লেখিত খাবারগুলোর মধ্যে কোন খাবার উদ্ভিজ্জ উৎস ও কোন কোন খাবার প্রাণিজ উৎস থেকে পাওয়া তা ছকের মাধ্যমে দেখাও।
গ) বৃহস্পতিবার প্রমার গৃহীত খাবারের একটি সুষম খাদ্য পিরামিড এঁকে উপস্থাপন কর।
ঘ) প্রমার স্বাস্থ্য রক্ষায় কোন দিনের খাবারটি অধিকত সহায়ক? যুক্তিসহকারে বিশ্লেষণ কর।
২। শিক্ষার্থী হিসেবে তোমার ২৪ ঘন্টার একটি রুটিন তৈরী কর এবং সেখানে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো উপস্থাপন কর।
ক) তিনবেলার খাবার, টিফিন ও বিকালের নাস্তা
খ) বিশ্রাম (ঘুম) ও শরীর চর্চা
গ) সারাদিনের কার্যাবলী (পড়ালেখা, ঘরের কাজ, বাইরের কাজ ইত্যাদি)
ঘ) খেলাধুলা (বাড়িতে)
ঙ) প্রার্থণা
চ) অবসর
উত্তরঃ খুব শীঘ্রই দেওয়া হবে।
আগামী সপ্তাহের বিষয়সমূহঃ
- ২য় সপ্তাহ : ইংরেজী ও জীববিজ্ঞান/ পৌরনীতি ও নাগরিকতা/ ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং।
- ৩য় সপ্তাহ : গণিত ও উচ্চতর গণিত/ কৃষি শিক্ষা/ অর্থনীতি/ গার্হস্থ্য বিজ্ঞান/চারুকলা।
- ৪র্থ সপ্তাহ : বাংলা ও রসায়ন/ ব্যবসায় উদ্যোগ/ ভূগোল ও পরিবেশ।
- ৫ম সপ্তাহ : ইংরেজী, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এবং বিজ্ঞান।